“সহিহ মুসলিম -৩য় খণ্ড” বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:

সহীহ মুসলিম-এর মূল গ্রন্থটি সারা দুনিয়ার ইসলামপ্রিয় মনীষীগণ কর্তৃক বিশেষভাবে সমাদৃত বিধায় এর বাংলা অনুবাদ বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষী মুসলিমদের বিশেষ উপকারে আসবে। বর্তমান বিশ্ব বহু মাযহাবের ডামাডোলের মধ্যে বসবাস করে ফিরকাবন্দীর মহাজালে আবদ্ধ হয়ে সহীহ হাদীসের বাস্তব জ্ঞান না থাকার দরুন বর্তমান যুগের মুসলিমের সঠিক ও নির্ভরযোগ্য হাদীসের সত্যিকার সন্ধান না পেয়ে সত্যিকার ইসলাম থেকে বিচ্যুত হয়ে বিভিন্ন মতবাদের শিকারে পরিণত হচ্ছে। তাই কুরআন বুঝতে হলে হাদীসের অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য। বাংলা ভাষায়ও বেশ কিছু সংখ্যক তাফসীর প্রকাশিত হলেও সে তুলনায় মৌল হাদীস কুতুবুস্ সিত্তাহ্’র বাংলা অনুবাদ খুব কমই প্রকাশিত হয়েছে। এ দেশের মানুষের কাছে মাতৃভাষার আবেদন যেমন অনেক বেশি, তেমনি তাদের কাছে সহীহ হাদীসের আকর্ষণ ও চাহিদা দীর্ঘদিনের। অথচ সে বাংলা ভাষায় সহীহ হাদীসের সহীহ তরজমার অভাব তীব্রভাবে অনুভব হয়ে আসছে। সহীহ হাদীস সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়ার জন্য রসূলুল্লাহ-এর সহীহ হাদীস জানার ও মুসলিমদের সত্যিকার ইসলামের পথে সুপ্রতিষ্ঠিত করার আন্তরিক প্রচেষ্টার ফসল হচ্ছে এ অনুবাদ গ্রন্থ। যা মূলত কুতুবুস্ সিত্তাহ্’র অন্যতম বিশিষ্ট নির্ভরযোগ্য হাদীস গ্রন্থ। সহীহ মুসলিম-এর বাংলা অনুবাদ সহজ ও প্রাঞ্জল এবং সাধারণ পাঠকদের উপযোগী করার লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের প্রকাশিত এ গ্রন্থে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য : ঞ্জ গ্রন্থটিতে প্রধানতঃ বিশ্ববিখ্যাত ‘আলিম মুহাম্মাদ ফুআদ ‘আবদুল বাক্বী সম্পাদিত মিসরের বৈরুত সংস্করণ “দার ইবনু হা” এবং “দারুল হাদীস” প্রকাশনীর অনুসরণ করা হয়েছে। সাথে সাথে কুরআন- হাদীসের সার্চ সফ্টওয়্যার বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থসম্ভার “মাকতাবাতুশ্ শামিলাহ্” থেকেও সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। * মূল হাদীস পূর্ণ সানাদ সহকারে মুদ্রিত হয়েছে। * বাংলা অনুবাদে সানাদের প্রথম ও শেষ রাবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে । এর মূল ইবারত পাঠ সহজ করণের লক্ষ্যে সুস্পষ্টভাবে পূর্ণাঙ্গ হরকত সন্নিবেশ করা হয়েছে। * গ্রন্থখানায় বিশুদ্ধ অনুবাদ ও যথার্থ টীকা সন্নিবিষ্ট করণে ইমাম নাবাবী (রহঃ)-এর সর্বশেষ তা’লীক্ব থেকে নেয়া হয়েছে। * গ্রন্থটিতে হাদীসে কুদ্সীসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে । সে পাঠক মহল বিশেষতঃ ‘আলিমদের সুবিধার্থে সহীহ মুসলিমে বর্ণিত মুরসাল ও মাওকূফ হাদীসগুলোর নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। সে হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে একাধিক রাবীর নাম একত্রে আসলে সর্বশেষ নামের সাথে সংশ্লিষ্ট সম্মানসূচক পাঠ সংকেত উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন- আবূ হুরায়রাহ্, আবূ বাক্ । * কুরআন মাজীদের আয়াতের ক্ষেত্রে প্রথমে সূরার নাম, তারপর সূরার নম্বর, শেষে আয়াত নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন- (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২ : ২৮৬)। এছাড়া আরো অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে , যা অন্য প্রকাশিত সহিহ মুসলিমের বঙ্গানুবাদে পাওয়া যাবে না। বইটি ক্রয় করে পড়লে বুঝতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ্।