“জঈফ আত-তিরমিযী -২য় খণ্ড” বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:

পবিত্র কুরআন মাজীদের পরেই রাসূলুল্লাহ -এর মুখনিঃসৃত বাণী বা হাদীস গ্রন্থ মুসলমানদের নিকট গুরুত্বপূর্ণ কিতাব। রাসূলুল্লাহ -এর বাণী সংগ্রহ ও সংকলনে মুসলিম মনীষীগণ অপরিসীম মেধা ও শ্রমের স্বাক্ষর রেখেছেন। শুধুমাত্র ইসলামের ইতিহাসে নয়, মানব জাতির ইতিহাসেও হাদীস সংকলন করতে যেয়ে মুসলিম মনীষীরা যে ধরনের পরিশ্রম, যাচাই-বাছাই পদ্ধতি ও মেধার উজ্জ্বল সাক্ষর রেখেছেন তা অনন্য অসাধারণ ।
কিন্তু একথা সত্যি যে, হাদীস সংরক্ষণের ব্যাপারে মুসলিম মনীষীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করা সত্ত্বেও পরবর্তী সময়ে হাদীসের মধ্যে ভেজাল ও বিকৃতির অনুপ্রবেশ ঘটে ৷
ইসলামের ইতিহাসে বিভিন্ন যুগে সে প্রয়োজনীয়তার প্রতি লক্ষ্য রেখে মুসলিম মনীষীরা লোক সমাজে প্রচলিত হাদীস পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন কিতাব রচনা করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় শাইখ ‘আল্লামাহ্ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রাঃ) য’ঈফ ও জাল হাদীসের এক বিশাল গ্রন্থ রচনা করেছেন ৷

বিদায় হাজ্জে রাসূলুল্লাহ তার উম্মাতকে সাবধান করে বলেছিলেন-
تركت فيكم امرين لن تضلوا ما تمسكتم بهما كتاب الله وسنة رسوله
“আমি তোমাদের মাঝে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত তোমরা এ দু’টিকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে থাকবে ততদিন পর্যন্ত তোমরা কিছুতেই বিভ্রান্ত হবে না । (এক) আল্লাহর কিতাব (দুই) তার রাসূলের সুন্নাত।” (মুওয়াত্তা মালিক উপরিউক্ত হাদীস থেকে সহজেই প্রতীয়মান হয়- ইসলামে হাদীসের গুরুত্ব অনেক। সহীহ্ হাদীস ছাড়া আল-কুরআনের যথার্থ আবেদন বুঝা যেমন অসম্ভব তেমনই মুসলিম জীবনের পূর্ণ রূপায়ণ অভাবনীয় ও অল্পনীয় ।