সুনান ইবনে মা'জাহ-২য় খণ্ড
ইবনে মা'জাহ (রঃ)
Available book type
Book info
Author
Category
Format
Year
Pages
Publisher
Language
About
” সুনান ইবনে মা’জাহ-২য় খণ্ড ” বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
তাহকীক সুনান ইবনু মাজাহ-এর বিশেষ বৈশিষ্ট্যাবলী
১। হাদীসের প্রাণ হচ্ছে সনদ। ইন শা’ আল্লাহ তাওহীদ পাবলিকেশন্স থেকে মৌলিক হাদীসগ্রন্থগুলোর আরবীর পাশাপাশি বাংলায় পূর্ণ সনদ সহকারেই ধারাবাহিকভাবে হাদীসগ্রন্থগুলো প্রকাশিত হবে। এ গ্রন্থেও আরবীর পাশাপাশি বাংলায় পূর্ণ সনদসহ প্রকাশ করা হলো। পাশাপাশি ক্ষেত্রবিশেষে রাবীর উপনাম ও উপাধী বা প্রসিদ্ধ নাম বন্ধনীর মধ্যে যোগ করা হয়েছে। কোন রাবীতে সমস্যা থাকলে সনদের নামের পাশেই বন্ধনীর মাধ্যমে সেটি উল্লেখ করা হয়েছে। যেগুলো অত্যন্ত দুর্বল রাবী সেগুলোর নামের নিচে আন্ডারলাইন করে দেয়া আছে । কোন হাদীসের একাধিক সনদ থাকলে তার সবগুলোই আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
২। সে সকল হাদীসের সনদে দুর্বলতা রয়েছে অথচ হাদীসটির মতন সহীহ সেগুলোর কতগুলো শাওয়াহিদ হাদীস আছে কিংবা কোন কিতাবে আছে তা হাদীস নম্বরসহ উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে করে সাধারণ পাঠক দুর্বল রাবী থাকা সত্ত্বেও শাওয়াহিদ এর ভিত্তিতে হাদীস সহীহ হওয়াটা সহজেই বুঝতে
পারে ।
৩। প্রতিটি খণ্ডের শেষে হাদীস বর্ণনাকারী দুর্বল রাবীদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি উল্লেখ করা হয়েছে। রাবী নম্বরসহ সংক্ষিপ্ত পরিচিতির মধ্যে রাবীর পূর্ণ নাম, উপনাম, জন্মস্থান, বাসস্থান, রাবীর স্তর, শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্রবৃন্দ, কতজনের কাছ থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাঁর নিকট থেকে কতজন হাদীস বর্ণনা করেছেন, তার জারাহ তাদীল বা দোষগুণ সম্পর্কে কতজন মুহাক্কিক পর্যালোচনা করেছেন সেগুলো বর্ণনা করা হয়েছে। ১ম খণ্ডে ৩৩১ জন, ২য় খণ্ডে ২৩৯ জন ও ৩য় খণ্ডে ২৭৩ জন রাবী রয়েছে। ৬। রাবীদের জারাহ তা‘দীল বা দোষগুণ বর্ণনাকারী শতাধিক মুহাক্কিকের নামের তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে।
৪ । প্রতিটি হাদীসকে মূলতঃ ৯টি হাদীস্ত্র গ্রন্থ (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মুয়াত্তা’ মালিক, মুসনাদ আহমাদ ও দারিমী)-এর আলোকে তাখরীজ করা হয়েছে। পাশাপাশি শায়খ আলবানী (র) এর বেশ কয়েকটি গ্রন্থসহ প্রায় ৬০টি গ্রন্থের তাখরীজ সংযোজন করা হয়েছে ।
৫। প্রতিটি হাদীস্রের শেষে যে নম্বরগুলো দেয়া হয়েছে তাতে পাঠক ও গবেষকবৃন্দ একই বিষয়ের উপর কোথায় কতটি হাদীস আছে তা সহজে জানতে পারবেন। মূল হাদীসের সাথে সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক মিল থাকা হাদীসগুলোর নাম্বার উল্লেখ করেছি। কোন হাদীসগ্রন্থে এক বিষয়ের একাধিক হাদীস থাকলে তার অধিকাংশ পুনরাবৃত্তি নম্বর উল্লেখ করা হয়েছ ।
৬। দঈফ হাদীসগুলোকে চারিদিকে সিঙ্গেল বর্ডার দিয়ে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। (তবে সুনান ইবনু মাজাহ-এর ১ম খণ্ডে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তা ছুটে গেছে। ইন শা’ আল্লাহ পরবর্তী সংস্করণে তা ঠিক করা হবে।) আর প্রতিটি দঈফ বা দুর্বল রাবী চিহ্নিত করে মুহাদ্দিসগণের ১ থেকে প্রায় ২০টি পর্যন্ত পর্যালোচনা উল্লেখ করা হয়েছে।
৭। হাদীস্রের নম্বরের ক্ষেত্রে বুখারীর নম্বর ফাতহুল রাবীর সঙ্গে, মুসলিম ও ইবনু মাজাহ ফুওয়াদ আবদুল বাকীর নম্বরের সঙ্গে, তিরমিযীর নম্বর আহমাদ শাকিরের নম্বরের সঙ্গে, আবূ দাউদ মুহাম্মাদ মাহিউদ্দীন আবদুল হামীদের নম্বরের সঙ্গে, মুয়াত্তা’ মালিক তার নিজস্ব নম্বরের সঙ্গে, নাসাঈ’র নম্বর আবৃ গুদ্দার নম্বরের সঙ্গে মিল রেখে করা হয়েছে।
৮। বাংলা সূচীপত্রের পাশাপাশি আরবী সূচীও উল্লেখ করা হয়েছে ।
৯। আরবী নামের বিকৃত বাংলা উচ্চারণ রোধকল্পে প্রায় প্রতিটি আরবী শব্দ বিশুদ্ধ বাংলা উচ্চারণে একটি সহজ বানানরীতির মাধ্যমে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। যেমন আয়েশা এর পরিবর্তে আয়িশাহ, জুম্মা এর পরিবর্তে জুমুআহ, লায়স এর পরিবর্তে লায়স, নামাজ এর পরিবর্তে সলাত, আবূ তালিব এর পরিবর্তে আবূ তালিব, সালেহ এর পরিবর্তে সালিহ, হাফেয এর পরিবর্তে হাফিয, কুরআন এর পরিবর্তে কুরআন ইত্যাদি ইত্যাদি প্রচলিত বানানে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। যা “সুনান ইবনু মাজাহ’র কিছু পরিসংখ্যান” এর শেষাংশে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ।
১০। সুনান ইবনু মাজাহ’র যত জায়গায় কুরআনের আয়াত এসেছে এমনকি আয়াতের একটি শব্দ আসলেও সেটির সুরার নাম ও আয়াত নম্বরসহ উল্লেখ করা হয়েছে।
১১। ইন শা’ আল্লাহ সমৃদ্ধশালী অধ্যায়ভিত্তিক সূচী নির্দেশিকাসহ প্রতিটি খণ্ডে থাকবে সংক্ষিপ্ত পর্বভিত্তিক বিশেষ সূচী নির্দেশিকা। এতে কোন পর্বে কতটি অধ্যায় ও কতটি হাদীস রয়েছে তা সংক্ষিপ্তভাবে জানা যাবে ।
১২। হাদীসে কুদসী চিহ্নিত করে হাদীসের নম্বর উল্লেখ ।
১৩। মুতাওয়াতির, ১৪। মারফূ’, ১৫। মাওকূফ ও ১৬। মাকতূ’ হাদীস নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে । ফলে সে হাদীসগুলোকে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে।
১৭। প্রতিটি খণ্ডের শেষে পরবর্তী খণ্ডের কিতাব/পর্বভিত্তিক সূচী নির্দেশিকা উল্লেখ করা হয়েছে। ১৮। নাবী রাসূল ও ফিরিশতাগণের নাম কতবার এসেছে। মুহাম্মাদ (র) সহ অন্য নাবীগণের নাম কতবার এসেছে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯। সুনান ইবনু মাজাহ্-এ বিভিন্ন স্থানের নাম, ২০। বিভিন্ন গোত্র বা গোষ্ঠির নাম কতবার এসেছে তাদের নামসহ উল্লেখ করা হয়েছে।
২১ । সুনান ইবনু মাজাহ্-এ যে সকল স্থানে ইরসাল ও ইনকিতা’ হয়েছে তার হাদীস নম্বর, ইরসাল ও ইনকিতা‘কারী রাবীর নাম সহ উল্লেখ করা হয়েছে ।
২২. সুনান ইবনু মাজাহ্-এ কবিতার চরণ কতটি ও কোথায় কোথায় এসেছে তা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ
করা হয়েছে।
২৩। সুনান ইবনু মাজাহ-এ ইমাম ইবনু মাজাহ ও তার ছাত্রদের বক্তব্য যত স্থানে এসেছে তা পর্বভিত্তিক সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।